May 5, 2024, 12:10 pm

এক কেজি মরিচের গুড়ার দাম ২৮ লাখ টাকা!

যমুনা নিউজ বিডিঃ এক কেজি মরিচের গুড়ার মূল্য ২৬ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮ লাখ। বিষয়টি শুনে অবাক হলেও এমনই একটি মরিচের সন্ধান পাওয়া গেছে নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালিতারা বাজার এলাকার সাংবাদিক দিলদার উদ্দিনের ছাদ বাগানে।

দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে জন্মানো এ মরিচ বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি রেস্তোরাঁ ও বাসায় খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এ প্রজাতির মরিচটি বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারলে তা বিদেশে রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

ফুল থেকে প্রথমে সাদা রংয়ের ফল, কয়েকদিনের মধ্যে সেই ফলের রং সবুজ, পরবর্তী হলুদ ও কমলা রং ফুটে উঠে ফলগুলোর গায়ে। ফল পেকে আসলে তা লাল রং ধারণ করে। পাঁচটি রংয়ের সংমিশ্রণে উৎপাদন হওয়া ফলটির নাম চারাপিতা মরিচ। যেটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর একটি দামী প্রজাতির মরিচ। প্রতি কেজি মরিচের গুড়ার দাম ২৬ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য চারাপিতা মরিচটি বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষের দাবি স্থানীয়দের। অতি মূল্যবান চারাপিতা মরিচের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলায় ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন সেটি দেখতে দিলদার উদ্দিনের বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষজন। মরিচটি দেখতে পেয়ে তারাও খুশি।

শখের বসে ২০১৯ সালে নিজের বাড়ির ছাদে বাগান করেন সাংবাদিক দিলদার উদ্দিন অপু। তার এ কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা সালমা ইমাম শিল্পী। গত ২০২১ সালে দিলদার উদ্দিনের মেয়ের শাশুড়ি আমেরিকান প্রবাসী খাওয়ার জন্য তাদের দুটি চারাপিতা মরিচ দেন। সেখান থেকে একটি মরিচের বীজ থেকে চারা করেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে ফলন দিলেও তিনি এ মরিচের দাম সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চারাপিতা মরিচের আকাশচুম্বী দাম ও বিশ্বজুড়ে এর দুষ্প্রাপ্যতার কথা জেনে বিস্মিত হন তিনি। এটি নিজেরা বড় পরিসরে চাষাবাদের পাশাপাশি সারাদেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান এ দম্পতি। ইতোমধ্যে চারা উৎপাদন ও তা নিয়মিত পরিচর্যা করছেন তারা।

নোয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, চারাপিতা মরিচের চারা উৎপাদন করে এটি জেলার কৃষকদের মাধ্যমে চাষের আওতায় আনতে পারলে দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। এই আশা রেখে চারাপিতা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সাপ্তাহিক হাতিয়া কন্ঠের সম্পাদক এম দিলদার উদ্দিন অপু জানান, তাদের ছাদবাগানে পার্সিমন, পিচ ফল, ত্বিন ফল, চেরি ফল, মালবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ট্যাং ফল, পিনাট বাটার, মিয়াজাকি আম, রামবুটান, বেরিকেটেট মাল্টা, আপেল, কমলাসহ ১৪০ প্রজাতির দুর্লভ ফলদ ও ওষুধি গাছ রয়েছে। এসবের মধ্যে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর বিখ্যাত চারাপিতা মরিচ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD